যেকোনো বিজনেসের জন্য প্রোডাক্ট সিলেকশন বা পণ্য নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পণ্য বাছাইয়ের উপর নির্ভর করবে আপনার বিজনেসের ভবিষ্যৎ। তাই যেকোনো বিজনেস শুরুর আগে অনেক রিসার্চ এর পরে পণ্য নির্বাচন করা উচিৎ।
আজকে আমরা কথা বলব পণ্য নির্বাচনের সময় আমাদের কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিৎ।
১। প্রাইস ( চিপ প্রোডাক্ট / এক্সপেন্সিভ প্রোডাক্ট )
আপনি চিপ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন নাকি এক্সপেন্সিভ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন সেটা পণ্য নির্বাচনের পূর্বেই ডিসাইড করতে হবে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ কাস্টমার পণ্যের কোয়ালিটির চেয়ে পণ্যের প্রাইস এর ব্যাপারে বেশি ভাবে। মোটকথায় চিপ প্রোডাক্টের প্রতি কাস্টমার বেশি আকৃষ্ট হন। চিপ প্রোডাক্টের সুবিধা হচ্ছে এই প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে আপনার সেলস ভলিউম অনেক বেশি হবে। কিন্তু একটা সমস্যা হচ্ছে সেলস বেশি হলেও আপনার প্রফিট এর পরিমাণ অনেক কম থাকে।আর সেলস বাড়া মানে হচ্ছে আপনার কাজ বাড়া, কাজ বাড়া মানে আপনার লোকবল বেশি দরকার হবে। উদাহরণসরূপ একটা ১০০ টাকার প্রোডাক্টে আর কত টাকা প্রফিট করতে পারবেন? অন্যদিকে এক্সপেন্সিভ প্রোডাক্টের বেলায় সেলস কম হলেও প্রফিটের পরিমাণ বেশি থাকে। উদাহরণসরূপ একটা ১০০০ টাকার প্রোডাক্টে কিন্তু আপনি ৩০০ টাকা পর্যন্ত প্রফিট করতে পারবেন বা অনেকক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি। এখন আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কি পণ্য নিয়ে কাজ করবেন?
২। এভেইলেবিলিটি (কমন অথবা আনকমন )
আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করবেন সে পণ্য যদি কোন **কমন প্রোডাক্ট **হয় তাহলে আপনার সুবিধা হচ্ছে আপনার নতুন করে ঐ প্রোডাক্টের ব্যাপারে কাস্টমারকে জানাতে হবে না। উদাহরণসরূপ আপনি যদি হাতঘড়ি নিয়ে কাজ করেন আপনার কিন্তু নতুন করে হাতঘরির ব্যাপারে কাউকে জানাতে হবে না কারণ কাস্টমার অলরেডি হাতঘরির ব্যাবহার সম্পর্কে জানে। তাই আপনি এইধরনের কমন প্রোডাক্ট নিয়ে খুব সহজেই বিজনেস করতে পারবেন। কিন্তু একটা অসুবিধা হচ্ছে এই ধরনের পণ্য নিয়ে বিজনেস করতে গেলে আপনার অনেক কম্পিটিটর থাকবে। অন্যদিকে একটা আনকমন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে শুরুতে যে বিষয় টা আসে, কাস্টমারের কাছে নতুন করে সেই পণ্যের ব্যাপারে ইনফরমেশন পৌছাতে হয়, কাস্টমারকে পণ্যের ব্যাবহার সম্পর্কে জানাতে হয়। যেটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এধরণের পণ্য যদি কাস্টোমার একবার এক্সেপ্ট করে তাহলে আপনার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
৩। পণ্যের কোয়ালিটি
চিপ/এক্সপেন্সিভ/ কমন/আনকমন যে প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করেন না কেন পণ্যের কোয়ালিটি যদি ভালো না হয় সেই পণ্য নিয়ে আপনি দীর্ঘসময় বিজনেস করতে পারবেন না। তাই যে পণ্য নিয়েই কাজ করেন না কেন সেই পণ্যের কোয়ালিটি আপনার বিজনেসে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
৪। পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা –
আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করবেন সেই পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা আপনার বিজনেসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। আপনার পণ্য সিলেকশন করার পর যদি দেখেন সেই পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা নেই তাহলে কিন্তু আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে পণ্য নির্বাচন করে বিজনেস শুরু করলে আপনার ভালো করার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেরে যাবে।
এরকম আরো অনেক ইমপোর্ট বিজনেসের খুটিনাটি শেয়ার করা হয়েছে ইমপোর্ট বিজনেস কোর্সটিতে-